বতসোয়ানার একটি আদালত আজ দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়ান খামারকে গ্রেফতারের জন্য পরোয়ানা জারি করেছে। খামার বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগ আনা হয়েছিল। আদালত ইয়ান খামাকে দেখমাত্র আটক করার নির্দেশ দিয়েছে।
গত বছর দেশ ছাড়ার পর থেকে প্রতিবেশী দক্ষিণ আফ্রিকায় আশ্রয় নিয়ে আছেন ৬৯ বছর বয়সী খামা। পাঁচ বছর করে দুই মেয়াদে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বতসোয়ানার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ইয়ান খামা দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট সেরেৎসে খামার পুত্র।
ক্ষমতায় থাকাকালীন ইয়ান খামার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এই মূহুর্তে তার নামে বিভিন্ন অভিযোগে মোট ১৪ টি মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে। এর মধ্যে রয়েছে মানি লন্ডারিং থেকে শুরু করে চুরি হওয়া সম্পত্তি হস্তান্তরের অভিযোগও।
আদালতের আজকের নির্দেশনাটি আসে পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র অবৈধভাবে নিজের কাছে রাখার মামলায়। এতে খামা ছাড়াও তার শাসনামলের বতসোয়ানায় গোয়েন্দা প্রধান এবং পুলিশ প্রধানেরও নাম রয়েছে।
চলতি বছর এই মামলায় ইয়ান খামাকে আদালতে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পরও খামা উপস্থিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল বতসোয়ানার আদালত।
আজকের এই আদেশের পর বতসোয়ানা সরকারের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ইয়ান খামাকে ফেরত পাঠানোর দাবি আরও জোরালো হবে। অন্য দেশের নেতাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া আফ্রিকা মহাদেশে অস্বাভাবিক ঘটনা না হলেও তাকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে আদালত হস্তক্ষেপ করলে আশ্রয়দাতা দেশের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়।
ইয়ান খামা অবৈধ অস্ত্র রাখাসহ তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ প্রত্যাখান করেছেন। তিনি এগুলোকে রাজনৈতিক প্রতিহংসা হিসেবে দাবি করে আসছেন।
এসবের জন্য ইয়ান খামা বতসোয়ানার বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোগউইৎসি মাসিসিকে দায়ী করেছেন। খামার দাবি, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি একজন শক্ত প্রতিদ্বন্দী হিসেবে আবির্ভুত হতে যাচ্ছেন। একারণেই ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে তার বিরুদ্ধে এসব মামলা দিয়ে তাকে নিষ্ক্রিয় করার কৌশল নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মাসিসি।
বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করারও অভিযোগ এনেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়ান খামা। প্রতিক্রিয়ায় সরকারের মুখপাত্র খামার সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।