নাইজেরিয়ার একটি অনুমোদনহীন অবৈধ তেল শোধনাগারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
আজ দেশটির রিভার্স প্রদেশ ও ইমো প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকান্ডের মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে নিহত ও আহতের চেহারা সনাক্ত করাও দূরহ হয়ে পড়েছে। দূর্ঘটনার জেরে তেল সংগ্রহ করতে আসা একাধিক যানবাহনকে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
নাইজেরিয়ার সরকারি কর্তাদের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, অবৈধ তেল সংরক্ষণাগারটি ছিল দুই প্রদেশের মধ্যবর্তী স্থানের আবাইজি বনের অভ্যন্তরে ওহাজি-এগবেমা সরকারি এলাকায়, যা ভৌগোলিকভাবে ইমো প্রদেশের অন্তর্গত।
নাইজেরিয়ার তেলসমৃদ্ধ নাইজার ব-দ্বীপ এলাকায় দারিদ্র ও বেকারত্বের কারণে অপরিশোধিত তেলকে পরিশোধিত করার ব্যবসা বেশ জনপ্রিয়। ভাল মুনাফার কারণে এই গড়ে অঞ্চলে উঠেছে ছোট ছোট অসংখ্য তেল শোধনাগার। স্বভাবতই এগুলোর নেই সরকারি অনুমোদন।
আশেপাশের বৈধ বড় বড় তেল কোম্পানির পাইপলাইন থেকে অপরিশোধিত তেল চুরে করে এসব শোধনাগারে পরিশুদ্ধ করে বাইরে বিক্রি করা হত।
নিবন্ধনহীন এসব শোধনাগারে সঠিক মানের যন্ত্রপাতি যেমন ব্যবহার করা হয়না, তেমনি কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত মাত্রায় রাখা হয়না।
ফলে প্রায়শই ছোটবড় দূর্ঘটনা ঘটে অবৈধ এসব তেল শোধনাগারে। এতে একদিকে যেমন হতাহতের ঘটনা ঘটে, অন্যদিকে নদী, খাল, কৃষিজমিতে তেল ছড়িয়ে পড়া, বাতাসে ক্ষতিকর উপাদান নিশে যাওয়াসহ নানাভাবে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটে পরিবেশেরও।
সম্প্রতি রিভার্স প্রদেশের গভর্নর ঐ এলাকায় গড়ে ওঠা অবৈধ তেল শোধনাগারগুলোর বিরুদ্ধে ধড়পাকড় শুরু করে। শোধনাগারগুলোর মাধ্যমে ক্রমাগত বায়ু দূষণের কারণে এগুলোর বিরুদ্ধে অভিযানে নামে স্থানীয় প্রশাসন। গত কয়েক মাসে এরকম বেশকিছু স্থাপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এমনকি এসব অবৈধ কর্মকান্ডে সহায়তা করা নিরাপত্তা বাহিনীর বেশকিছু সদস্যকেও চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
স্থানীয় প্রশাসনের অভিযানের মুখে অনেকগুলো অবৈধ তেল শোধনকেন্দ্র আবাইজি বনের অন্যত্র এবং প্রতিবেশী প্রদেশগুলোতে সরে পড়তে শুরু করেছে।
গত অক্টোবরে এলাকাটিতে ঘটা অনুরূপ আরেক বিস্ফোরণে কয়েকটি শিশুসহ অন্তত ২৫ জন নিহত হয়।
আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে বড় তেল উত্তোলক ও রপ্তানিকারী দেশ নাইজেরিয়ার সরকারি কর্তারা বলছেন, দেশজুড়ে এসব অবৈধ শোধনকেন্দ্রের কারণে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০০,০০০ ব্যারেল তেল হাতছাড়া হয় দেশটির সরকারের। এই সংখ্যা দেশটির দৈনিক মোট তেল উৎপাদনের ১০ শতাংশ। অর্থাৎ নাইজেরিয়া দৈনিক যতটুকু তেল উত্তোলন করে তার দশ ভাগের এক ভাগই চুরি হয়ে যায়।
চুরির কারণে হওয়া ক্ষতি পোষাতে বড় তেল কোম্পানিগুলো প্রায়ই তেল রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করে। এতে দাম বেড়ে যায় জ্বালানি তেলের। প্রভাব পড়ে দ্রব্যমূল্য, যাতায়াত, পরিবহনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে।
নাইজেরিয়ার একটি অনুমোদনহীন অবৈধ তেল শোধনাগারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
আজ দেশটির রিভার্স প্রদেশ ও ইমো প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকান্ডের মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে নিহত ও আহতের চেহারা সনাক্ত করাও দূরহ হয়ে পড়েছে। দূর্ঘটনার জেরে তেল সংগ্রহ করতে আসা একাধিক যানবাহনকে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
নাইজেরিয়ার সরকারি কর্তাদের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, অবৈধ তেল সংরক্ষণাগারটি ছিল দুই প্রদেশের মধ্যবর্তী স্থানের আবাইজি বনের অভ্যন্তরে ওহাজি-এগবেমা সরকারি এলাকায়, যা ভৌগোলিকভাবে ইমো প্রদেশের অন্তর্গত।
নাইজেরিয়ার তেলসমৃদ্ধ নাইজার ব-দ্বীপ এলাকায় দারিদ্র ও বেকারত্বের কারণে অপরিশোধিত তেলকে পরিশোধিত করার ব্যবসা বেশ জনপ্রিয়। ভাল মুনাফার কারণে এই গড়ে অঞ্চলে উঠেছে ছোট ছোট অসংখ্য তেল শোধনাগার। স্বভাবতই এগুলোর নেই সরকারি অনুমোদন।
আশেপাশের বৈধ বড় বড় তেল কোম্পানির পাইপলাইন থেকে অপরিশোধিত তেল চুরে করে এসব শোধনাগারে পরিশুদ্ধ করে বাইরে বিক্রি করা হত।
নিবন্ধনহীন এসব শোধনাগারে সঠিক মানের যন্ত্রপাতি যেমন ব্যবহার করা হয়না, তেমনি কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত মাত্রায় রাখা হয়না।
ফলে প্রায়শই ছোটবড় দূর্ঘটনা ঘটে অবৈধ এসব তেল শোধনাগারে। এতে একদিকে যেমন হতাহতের ঘটনা ঘটে, অন্যদিকে নদী, খাল, কৃষিজমিতে তেল ছড়িয়ে পড়া, বাতাসে ক্ষতিকর উপাদান নিশে যাওয়াসহ নানাভাবে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটে পরিবেশেরও।
সম্প্রতি রিভার্স প্রদেশের গভর্নর ঐ এলাকায় গড়ে ওঠা অবৈধ তেল শোধনাগারগুলোর বিরুদ্ধে ধড়পাকড় শুরু করে। শোধনাগারগুলোর মাধ্যমে ক্রমাগত বায়ু দূষণের কারণে এগুলোর বিরুদ্ধে অভিযানে নামে স্থানীয় প্রশাসন। গত কয়েক মাসে এরকম বেশকিছু স্থাপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এমনকি এসব অবৈধ কর্মকান্ডে সহায়তা করা নিরাপত্তা বাহিনীর বেশকিছু সদস্যকেও চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
স্থানীয় প্রশাসনের অভিযানের মুখে অনেকগুলো অবৈধ তেল শোধনকেন্দ্র আবাইজি বনের অন্যত্র এবং প্রতিবেশী প্রদেশগুলোতে সরে পড়তে শুরু করেছে।
গত অক্টোবরে এলাকাটিতে ঘটা অনুরূপ আরেক বিস্ফোরণে কয়েকটি শিশুসহ অন্তত ২৫ জন নিহত হয়।
আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে বড় তেল উত্তোলক ও রপ্তানিকারী দেশ নাইজেরিয়ার সরকারি কর্তারা বলছেন, দেশজুড়ে এসব অবৈধ শোধনকেন্দ্রের কারণে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০০,০০০ ব্যারেল তেল হাতছাড়া হয় দেশটির সরকারের। এই সংখ্যা দেশটির দৈনিক মোট তেল উৎপাদনের ১০ শতাংশ। অর্থাৎ নাইজেরিয়া দৈনিক যতটুকু তেল উত্তোলন করে তার দশ ভাগের এক ভাগই চুরি হয়ে যায়।
চুরির কারণে হওয়া ক্ষতি পোষাতে বড় তেল কোম্পানিগুলো প্রায়ই তেল রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করে। এতে দাম বেড়ে যায় জ্বালানি তেলের। প্রভাব পড়ে দ্রব্যমূল্য, যাতায়াত, পরিবহনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে।