‘নাইট আট দ্য মিউজিয়াম’ খ্যাত অভিনেতা বেন স্টিলার ও অস্কারজয়ী আরেক অভিনেতা শন পেনকে নিজেদের দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল রাশিয়া।
চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে দেশটির প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করায় এই দুই মার্কিন তারকার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ক্রেমলিন। এর আগে একই কারণে হলিউড কিংবদন্তী মরগ্যান ফ্রিম্যানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল রাশিয়া।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়ার সাথে পশ্চিমা বিশ্বের পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞার ধারা চলমান আছে।
রাশিয়ার ‘অলিগার্ক’ বা ধনাঢ্য ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শীর্ষ রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, সামরিক কর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা যেমন একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, রাশিয়াও তেমনি জো বাইডেন, বরিস জনসন থেকে শুরু করে বহু পশ্চিমা নাগরিককে তাদের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ঢুকিয়েছে।
নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্বদের পাশাপাশি শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকাও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে প্রকাশ্যে তাদের অবস্থান ব্যক্ত করেছে। তাদের মধ্যে যারা রাশিয়ার সমালোচনা করেছে, তাদেরকে বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছে মস্কো।
এরই ধারাবাহিকতায় এবার হলিউডের দুই জনপ্রিয় মুখ বেন স্টিলার ও শন পেনের নাম নিজেদের ‘স্টপ লিস্টে’ অন্তর্ভুক্ত করল রুশ সরকার। বিশেষ এই তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের রাশয়ায় প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
বেন স্টিলার ও শন পেন উভয়েই ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর কিয়েভ সফর করে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
বেন স্টিলার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের শুভেচ্ছা দূত হিসেবেও কাজ করছেন। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই তিনি প্রকাশ্যেই দেশটির স্বপক্ষে নিজের সমর্থন ব্যক্ত করে আসছেন।
গত জুনে বিশ্ব শরণার্থী দিবসে বেন স্টিলার কিয়েভ সফর করেন। এসময় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সাথে দেখা করে তাকে ‘নিজের নায়ক’ হিসেবে বর্ণনা করেন হলিউডের বহু ছবির নায়ক বেন।
অপরদিকে আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা শন পেন বহু আগে থেকেই রাজনীতি সচেতন হিসেবে পরিচিত। অভিনয়ের বাইরেও বিভিন্ন ইস্যুতে নিজের স্পষ্ট মতামত খোলাখুলি জানিয়ে এসেছেন তিনি।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নির্মিতব্য একটি তথ্যচিত্রের জন্য গত মার্চে দেশটিতে গিয়েছিলেন শন পেন। এই অভিনেতা পরে মন্তব্য করেছিলেন, একটা সময় রাশিয়ায় বিরুদ্ধে স্বশরীরে যুদ্ধ করার কথাও ভেবেছিলেন তিনি।
অভিনেতা বেন স্টিলার ও শন পেন ছাড়াও সর্বশেষ বিভিন্ন ক্ষেত্রের আরও ২৩ জনের নাম নিজেদের ‘স্টপ লিস্টে’ সংযোজন করেছে রাশিয়া। এই নিয়ে তালিকাটিতে স্থান পেলেন মোট ১০৭৩ জন।
যাদের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটেনের সদ্যবিদায়ী ও নবনির্বাচিত দুই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও লিজ ট্রাসও রয়েছেন।