মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের কম্পিউটার ব্যবস্থাকে ক্লাউড-ভিত্তিকে উন্নীত করার ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বহুল আলোচিত চুক্তি আমাজনকে হঠিয়ে পেয়ে গেল মাইক্রোসফট।
‘জয়েন্ট এন্টারপ্রাইজ ডিফেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ বা সংক্ষেপে ‘জেডি’ নামে পেন্টাগনের নেওয়া মহাপরিকল্পনার আওতায় এই আধুনিকীকরণের কাজ করবে মাইক্রোসফট। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরকে প্রযুক্তিগতভাবে আরও ক্ষিপ্র ও নিশ্ছিদ্র করে গড়ে তোলা।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এই পরিবর্তনের কাজটি পেন্টাগন মাইক্রোসফটকে দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই অসন্তুষ্ট আমাজন। তারা জানিয়েছে, পেন্টাগনের এই সিদ্ধান্ত তারা সার্বিকভাবে মূল্যায়ন করে দেখবে। সংস্থাটি ১০ দিন সময় পাবে পেন্টাগনের সিদ্ধান্তকে আনুষ্ঠানিকভাবে চ্যালেঞ্জ জানানোর।
পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রকল্পটির জন্য জমা পড়া আবেদনগুলো নিরপেক্ষতার সাথে যাচাই-বাছাই করেই মাইক্রোসফটকে কাজটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মাইক্রোসফটের নির্বাহী টনি টাওনস-হুইটলি এক বার্তায় বলেছেন, মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর তাদের বর্তমান সমর ব্যবস্থার জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনগুলো সাধনের জন্য মাইক্রোসফটের ক্লাউড প্রযুক্তিকে বেছে নেওয়ায় তারা অত্যন্ত গর্বিত।
‘জেডি’ প্রকল্পের আওতায় মাইক্রোসফট পেন্টাগনের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক বিশ্লেষণ সরবরাহ করবে এবং প্রতিরক্ষা দপ্তরের বিভিন্ন বিভাগের গোপন সামরিক তথ্যাদি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবে।
পেন্টাগন আশা করছে, নতুন এই প্রকল্প যুদ্ধক্ষেত্রে মার্কিন সামরিক বাহিনীর কাছে প্রয়োজনীয় সব তথ্য-উপাত্ত আরও নির্ভূল ও সূচারুভাবে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।
এদিকে আকাশছোঁয়া আর্থিক মূল্যের এবং পেন্টাগনের মত বিশ্বের সর্ববৃহৎ সামরিক দপ্তরের এমন সুপার মেগা প্রকল্পের কাজের বরাত পাওয়ার সুবাদে মাইক্রোসফটের শেয়ারের দাম অচিরেই ঈর্ষনীয় উচ্চতায় পৌঁছে যাবে বলে আশা করছে সংস্থাটি। সাথে প্রযুক্তি জগৎে দীর্ঘমেয়াদী ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার ও সুনাম অর্জন তো রয়েছেই।
আমাজন অসন্তুষ্ট হবে নাইবা কেন!